দোসর

পিছল পথের পথিক ওগো দীঘল পথের যাত্রী!
কোথায় যাবে কোথায় যাবে? সামনে মেঘের রাত্রি
বাদ্লা দিনের উদ্লা ঝামট্ ভাসিয়ে দেবে সৃষ্টি;
লাগবে উছট; ছাটের জলে ঝাপ্সা হবে দৃষ্টি।

“পিছন হ’তে কে ডাকে গো পিছল পথের যাত্রীরে?
দোসর হিয়ার খোঁজ পেয়েছি, ভয় করিনে রাত্রিরে।
পিছল পথে বিচল গতি পারব এখন আটকাতে
পরস্পরে করব আড়াল ঝড়-বাদলের ঝাপ্টাতে।”

উচল পথের পথিক ওগো অচল পথের যাত্রী;
পায়ের পাশে খাদের আঁধার ভীষণ ভয়ের ধাত্রী;
সামনে বাঁকা শালের শাখা; উদ্ঘাতিনী পন্থা,
কই তোমাদের যষ্টি, বন্ধু! কই তোমাদের কন্থা?

* * * *

“খাদের ধারে আল্গা মাটি আমরা চলি রঙ্গে,
হাওয়ায় পাতি পায়ের পাতা,- দোসর আছে সঙ্গে।
দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষা যে মনপরখের কষ্টি,
পরস্পরের প্রেম আমাদের জীবন-পথের যষ্টি।
পরস্পরের প্রেম আমাদের যাত্রা-পথের কন্থা,
হোক্ না বাতাস তুষার-স্পর্শ,- উদ্ঘাতিনী পন্থা।
সঙ্কটেরে করব সহজ,- কিসের বা আর শঙ্কা?
সঙ্গে দোসর,- ওই আনন্দে বাজিয়ে দেব ডঙ্কা।”

* * * *

জীবন-পথের পথিক ওগো অসীম পথের যাত্রী।
আশিস করেন আদিম দোসর ধাতা এবং ধাত্রী;
ধাতা- সে যে বিশ্বধাতা, অন্তরে যার স্ফূর্ত্তি,
ধাত্রী- সে যে এই বসুধা, স্বদেশ যাহার মূর্ত্তি।
আলোক-পথের পথিক ওগো আশিস-পথের যাত্রী,
শিবতর শিবের লাগি যাপন কর রাত্রি।
শুভ হউক পন্থা ওগো! ধ্রুব হউক লক্ষ্য,
বিশ্বে হের বিস্তারিত পক্ষী-মাতার পক্ষ!