একটি চামেলীর প্রতি

চামেলি তুই বল্,-
অধরে তোর কোন রূপসীর
রূপের পরিমল!

কোন্ রজনীর কালো কেশে
লুকিয়েছিলি তারার বেশে,
কখন খ’সে পড়লি এসে
ধূলির ধরাতল!

কোন্ সে পরী গলার হারে
রেখেছিল কাল তোমারে,
কোন প্রমদার সুধার ভারে
টুপ্ টুপে তোর দল!

কোন্ তরুণীর তরুণ মনে
জাগ্লি রে কোন্ পরম ক্ষণে,
বাইরে এলি বল্ কেমনে
সঙ্কোচে বিহ্বল!

সুন্দরী কোন্ বাদশাজাদীর
কামনা তুই মৌন-মদির,
বান্দা-হাটের কোন্ সে বাঁদীর
তুই রে আঁখিজল!

জ্যোৎস্না-জলের তুই নলিনী
পাল্লে তোরে কোন্ মালিনী,
কোন্ হাটে তোর বিকিকিনি
জান্তে কুতূহল!

সব্জে ঝোপের পান্না-ঝাঁপি
রাখতে নারে তোমায় ছাপি’;
বাতাস দেছে ঘুরিয়ে চাবি
আল্গা মনের কল!

সৌরভে তোর স্বপন বলে,
বুল্বুলে দ্যায় কণ্ঠ খুলে,
পাপিয়া মাতাল মনের ভুলে
বক্ছে অনর্গল!

তোর নিশাসের মুসব্বরে
মুসাফিরের মগজ ভরে,
ফুটায় মনে কি মন্তরে
খুসীর শতদল!
অধরে তোর কোন্ রূপসীর
হাসির পরিমল!
চামেলি তুই বল্।