ওরে কচি! ওরে জড়সড়! নতমুখ!
কত আতঙ্কে দুরু দুরু তোর বুক,
অত দ্রুত আর হবেনা পলা’তে
তুরিত চলি’
মারিতে ধরিতে আমি যাবনারে
লাঙল তুলি’।
সত্যই ব্যথা পেয়েছি পরাণে, ভাই,
স্বভাবের ভাব- মানুষ তা রাখে নাই;
অকারণ নয় তোর এই ভয়,-
আমারে ত্রাস!
ধরাচর তবু তোরি সহচর,
মরণ-দাস।
সংশয় নাই,- তস্কর তুমি ভাই,
তা’তেই বা কি?- বেঁচে থাকা ও ত চাই;
বোঝা বোঝা ধানে দু’একটি শীষ,-
মাঙন এই;
সবা সনে বেঁটে নেব দেব-দান
তাড়াতে নেই।
ছোটবাসাটি ও ভেঙে গেছে, হায়,
যেটুকু আছে তা’ বাতাসে উড়ায়;
নাহিও কিছুই নূতন গড়িতে,-
পাতা কি ঘাস,
এসে প’ল ব’লে এদিকে পোষের
শীত-বাতাস।
দেখি মাঠ ঘাট হ’ল তৃণহীন,
শীত ঘনাইয়া আসে দিন দিন,
ভেবেছিলি হেথা জাড়ের ক’দিন
থাকিবি বেশ;
দলিয়া কোটর লাঙল কঠোর
গেল রে শেষ!
ওই অতগুলি তৃণ, পাতা, লতা,
কত শ্রমে কেটে এনেছিলি হেথা;
ফলে হ’লি দূর,- নাহি আর তোর
ঘর দুয়ার,
সহিতে বিধন শিলা-বরিষণ,
হিম, তুষার।
একা তুই ন’স্ দেখ্রে ইঁদুর,
কল্পনা যা’র হ’য়ে গেছে চূর,
ইঁদুর নরের অনেক মানসই
হয় বিফল;
সুখ আশা হায়, পিছে রেখে যায়
ব্যথা কেবল।
তবু আছ বেশ, মোর তুলনায়,
শুধু অনুভব,- আছ যে দশায়,
হায় রে মোরা যে পিছে দেখি ঘোর
ঘটনা চয়;
সমুখে দেখি না,- শুধু অনুমান,-
তা’তেও ভয়!
বার্ণ্স