(কাশ্মীর)
আঁখি রে! তোর ঘুচিল ঘোর
টুটিল দুখ- দুখেরি লোর,
ওরে চপল! হ’লি সফল
একি উজল সমুখে তোর!
একি বিপুল! একি নিখুঁৎ!
কাড়িল মন এ অদভুত!
কোথা পাহাড় জড়োয়া-হার
জটে জড়ায় জরিরই সূৎ!
হরমুকুট! হরমুকুট!
ভূ-স্বরগের সুমেরু-কূট
গগনে প্রায় ভিড়ায়ে কায়
করিতে চায় তারকা লুট!
বিজুলি থির হ’য়ে নিবিড়
রয়েছে কার বেড়িয়া শির!
হীরা-ফটিক উজলি, দিক
ঘিরেছে কার জটারি নীড়!
হরমুকুট! হরমুকুট!
জুড়ি’ পাহাড় জড়োয় বুঁট!
কী অপরূপ! ছায়া ও ধূপ
ভজে তোমায় সাচা ও ঝুট!
হরমুকুট! হর-মুকুট!
শিলা-সুঘট জটা ও জুট!
জটা-টোপর করেছে হর
নদী নিথর হয়েছে ছুট্!
ধারা জমাট রূপালি ঠাট
কালো-কটার কাঁড়ি বিরাট
ঘিরিয়া- পাক দেছে- অবাক
বেঁধেছে জট করিয়া আঁট।
কালো-শিলায় ছকিয়া ছক
ঝকিছে হিম- গিরি-ভুজগ,
নিরেট নীর ভাগীরথীর
জটাতে থির শশী অলখ্!
গিরিরাণীর দু’আঁখি পর
আনো স্বপন ওগো টোপর,
তোরে অজর করিল হর
উমা-মিলন্-স্মিরিতি-ধর।
হর-মুকুট! হরমুকুট!
কত নদীর প্রাণেরি পুট,
কত ধারার চির-আধার
তুমি অশেষ তুমি অটুট!
হর-মুকুট! হর-মুকুট!
গিরিরাজের দানেরি মুঠ!
কত নীলাব কত লোলাব
আছে তোমার ধ্যানে অফুট।