ঘুমো আমার সোণার খোকা, ঘুমো মায়ের বুকে;
আকাশ জুড়ে উঠ্লো তারা ঘুমো রে তুই সুখে।
হাত পা নেড়ে কান্না কেন? কান্না কেন এত?
চাঁদ উঠেছে, ঘুমোরে তুই সোণার চাঁদের মত!
এক্টি দিয়ে চুমো,- ঘুমে রে তুই ঘুমো।
ঘুমো আমার সোণর পাখী মায়ের বুকের ‘পরে:
ঘুমের ঘরে ডরিয়ে কেন উঠ্লি অমন করে?
ও কিছু নয়,- শব্দ ওঠে হাওয়ায় বাঁশের ঝাড়ে,
(আর) চকাচকী ডাকাডাকি ক’চ্চে পুখুর পাড়ে!
ঘুমো রে তুই ঘুমো- একটি দিয়ে চুমো।
ঘুমো আমার সোণার যাদু, কিসের তোমার ভয়?
কে কি করে?-কাছে কাছে মা যে তোমার বয়;
আমার খোকায় ছুতে নারে ঘাসের বনের সাপ,
বাজ পড়ে না,যতই খুসী হক না মেঘের দাপ!
ঘুমো মাণিক ঘুমো,- একটি দিয়ে চুমো।
ঘুমো মনের সাথে, শুধু, স্বপন দেখিস্ না রে,-
ভয় পাছে পা’স্ জেগে,- হুতোম ডাক্ছে যে আঁধারে।
গুটিসুটি মাথাটি রাখ্, আমার বুকের ‘পরে,
হাস্ রে শুধু- দেখি আমি,- হাস্রে ঘুমের ঘোরে!
ঘুমো মাণিক ঘুমো,- ঘুমো রে তুই ঘুমো।
ঘুমো আমার সোণার খোকা, ঘুমো আমার কোলে,
ভূমিকম্পে পাহাড় যখন ঘর বাড়ী নে’ দোলে;
পাপের কৰ্ম্ম যে ক’রেছে দেব্তা তা’রেই মারে,
নির্দ্দোষী মোর সোণার খোকা,- কেউ না ছুঁতে পারে,
ঘুমো মাণিক ঘুমো,- সোণার পাখী ঘুমো।