যমুনার জল

অপ্রেমেরি হাওয়া আমার লেগেছে গায়ে,-
আন্ গো তোর যমুনা-জল,-দে গো ছিটায়ে;
এক্লা হয়ে মর্ম্মে মরে
এক পাশে হায় আছি সরে
আছি প্রেমের ঠাকুর-ঘরের দ্বারে দাড়ায়ে;
অপ্রেমেরি হাওয়া আমার লেগেছে গায়ে।

এনে দে রে পরশ করি যমুনা-বারি,
প্রেমে শুচি প্রাচীন দিনের হরষ বিথারি;
সৃষ্টিছাড়া হৃদয়টাকে
দিই বিলিয়ে যাকে-তাকে
শাস্ত্র-ছাড়া প্রেমের ডাকে দু’হাত পারি;
এনে দে রে পরশ করি যমুনা-বারি।

ওই যমুনা প্রেমে শুচি প্রেমেরি ধারা-
রাজার মেয়ে রাখাল ছেলের মিলন-পিয়ারা;
দেয় সে বুকে পরের ছেলে,
উজান বহে অবহেলে।
করতে শেখায় পরকে আপন,আপনা-হারা
ওই যমুনা সব-ভুলানো প্রেমেরি ধারা।

আজ যেন মন গঙ্গাজলে শুচি না মানে,-
অপ্রেমেরি হাওয়া আমার লেগেছে প্রাণে;
প্রেমে শীতল জল যমুনার।
ছড়িয়ে দে রে অঙ্গে আমার!
অচল রথের চলুক চাকা প্রেমেরি টানে,
আজকে হৃদয় গঙ্গাজলে শুচি না মানে!

গঙ্গাজলে অঙ্গ শুচি- শান্তরে বলে,
আমি জানি মন শুচি হয় যমুনাজলে;
রাখাল ছেলের মুখের মিঠে
মানুষ করে শাস্ত্রকীটে,-
অপ্রেমেরি শুল্ক হাওয়া লুকায় অতলে;
আমি জানি মন শুচি হয় যমুনা-জলে।

আন্ গো তবে যমুনা-জল এনে দে, ওরে!
অপ্রেমের এই প্রেতের পরশ ঘিরেছে মোরে;
ছড়িয়ে দে প্রেমহীনের মাথে
মিলিয়ে দে রে সবার সাথে,
টু প্রেমের ঠাকুরঘরে, থাক্ না সরে;-
আন্ তোরা আন্ যমুনাজল- এনে দে, ওরে।