উচ্চশির উচ্চে রাখা অভ্যাস আমার,
আমার প্রকৃতি, হায়, রুক্ষ ও কঠোর;
রাজার (ও) অবজ্ঞা দৃষ্টি পারেনাক মোর
নয়নেয়ে করিবারে নত একবার।
কিন্তু অয়ি স্নেহময়ী জননী আমার,
যখন নিকটে থাকে মূর্ত্তিখানি তোর,
অতি তীব্র অভিমান দর্প অতি ঘোর
সব যায়; বালা যেন পাই পুনর্ব্বার!
সে কি দেবতাত্মা তব?- শান্ত করে মোরে?
দেবতাত্মা,- বিশ্ব যার মুঠার ভিতরে,-
আমোদে মেলিয়া পাখা ফিরে যে অম্বরে!
মরমে মরি, মা, আজি স্মরিয়া আপন
কৃতকর্ম্ম;- যাহা ব্যথিয়াছে তব মন;-
যে মনে- সবার বেশী পাই স্নেহধন।
অন্ধ খেয়ালের মোহে ছাড়িয়া তোমায়,
ফিরিলাম খুঁজিয়া খুঁজিয়া বিশ্বময়,-
মমতার যদি কভু দেখা মিলে, হায়;
আশা ছিল, লভিলে তা’ জুড়াবে হৃদয়!
দেখিলাম যতদূর দৃষ্টি মোর যায়,
ফিরিলাম দ্বারে দ্বারে করাঘাত করি’
কাতরে কহিনু স্নেহ-ভিখারীরে, হায়,
ফিরায়োনা; ঘৃণাভরে সবে গেল সরি’।
সেই আমি খুঁজিতেছি সারাটি জীবন,
মমতার, হায়, তবু দেখা নাহি পাই;
আজ ফিরিয়াছে মন ভবনে আপন,
যেথা, মাগো, তুমি মোরে ডাকিছ সদাই।
আজ দেখিলাম যাহা দৃষ্টিতে তোমার,
সেই ত’ মমতা- চির-আরাধ্য আমার।
হায়েন্