মধু-মাধবী

রাত-বিরাতে কখন্ এলে, মৌন-চারিণী।
সবুজ-সবুজ উড়িয়ে নিশান, জান্তে পারেনি!
পাতায় পাতায় পাখ্ পাখালির নাচন অনন্ত,
বসত বাঁধার যুক্তি ওদের দিক্ন বসন্ত।
অশথ-পাতা বোঁটার বাঁধন এড়িয়ে যেতে চায়,
পান্না-চিকন পাতার পাথার উল্লাসে উথ্লায়।
ফর্দ্দা হওয়ার পর্দ্দাতে গান কোকিল ধরেছে,
চন্ননা তার কণ্ঠী চুনীর ঝালিয়ে পরেছে!
রসাল ডালে লাল কিশলয় লুকিয়ে ছিল যে,
কিশোর চুমায় মলয় তারে দুলিয়ে দিল রে!
স্যাম্-সোনেলার শ্যাম্পেনে বুঁদ বাতাস ঢেউ তোলে,
নাহক্-খুসীর নাস্তানাবুদ ডাপালা দোলে!

নিশ্বাসে তোর শীতের হাওয়ায় বাসন্তী শীৎকার!
দিল্দরিয়ার ঢেউ দিয়েছে তোমায় চমৎকার
রামধনু তুই মাড়িয়ে এলি- অশোক ফুটিয়ে,-
অপাঙ্গে কি ভঙ্গী করে’ ভোমরা ছুটিয়ে!
চাঁচর কেশে নাগকেশরের ঝাপ্টা জড়োয়ার,
দুই কানে দুই চাঁপার কলি, গলায় বেলীর হার!
বুক-জুড়ে তোর সজ্নে-ফুলের মোতির সাতনরী,
স্বজনী তুই মন-সৃজনের সুন্দরী পরী!
কাঁচা গায়ের লাবণ্যে যায় দুনিয়া ছাপিয়ে,
পাপিয়া কূজে প্রসাদ-আঁখির ‘প্রসন্না-প্রিয়ে!
ফুলের পাখা ঢুলাও তুমি রজনীগন্ধার,
অঙ্গে তোমার দীপ্তি উষার, অপাঙ্গে সন্ধ্যার!

অ-ধর তোমার অঙ্গ-বিভা, স্বপন-মনোহর,
অনঙ্গের ও আলগা চুমার সয় না যেন ভর!
ঝপ টানে তোর মুখটি মাজা, সোহাগশালিনী!
মূর্তিমতী শ্রীপঞ্চমী বকুল-মালিনী!
কর্পূরে চাঁদ জ্বালিয়ে বাতি সকল রাতি-ভোর
তারায় তারায় আলোর ঝারায় বরণ করে তোর!
অম্বরে তোর ওড়্না ওড়ে, বসন্ত-বাহার!
মিহিন্ খাপি সিন্ধু-কাফি পিঁধন চমৎকার!
আঁচল হেনে পিয়াল-বনে করিস রে আলা,
ধূলায় ফেলিস্ মহুয়া-ফুলের ভর্তি পিয়ালা!
পূর্ণিমা তোৰ হাস্যে মধুর হৃদয়-হারিণী!
আঁখির লীলায় লাস্য, নীরব স্বপ্ন-চারিণী।