নাগকেশর

রাজদুলালী কনকচাঁপা ফুল যেদিন,- তার দোসর
কাঞ্চীপুরের কাঞ্চনিয়া জুটুল সেদিন নাগকেশর;
মধু-মদের গন্ধ গায়
জুটল হঠাৎ দখিন বায়
হাওয়াই ঘোড়া ছুটিয়ে এল দখিন হ’তে এ সুন্দর!

মালঞ্চ আজ আলোয়-আলো মোহন রূপের গৌরবে,
আকাশ ভরে ঢেউ উঠেছে কিশোর তনুর সৌরভে;
হিরণ্য-কেশ সূৰ্য্য তায়
তপ্ত চুমা দিচ্ছে হায়
সোনা হ’য়ে উঠল কেশর তাই কি?-ভানুর বৈভবে?

স্বর্ণ শরে পূর্ণ একি গন্ধরাজের তৃণখানি!-
পুষ্পকান্তি ললাটে কার তিলক শোভে জাফ্রাণী!
মোতির পরে সোনার থর!
চাঁদের বুকে সূৰ্য্যকর!
সদ্য-জাগা যৌবনে এ কোন্ কামনার রাজধানী।

শঙ্খনাদের মাথায় ওকি সোনার চূড়া গজিয়েছে,
মাতা মধুর মাৎ নিয়ে হায় মাতিয়েছে মন মজিয়েছে;
মৌমাছিরা মূর্চ্ছা পায়
গর্ম্মি হাওয়া ভিৰ্ম্মি যায়,
হলুদ্ ফাগে ভোম্রা গুলোয় বোল্ত হ’তে ভজিয়েছে।

চীনাংশুকে স্বর্ণমুষ্টি রয়েছে কার উজ্জলি,
ইন্দু নেছে আঁচল পেতে ভানুর কনকাঞ্জলি!
বিশ্ব-কবি সেই কথাই-
লিখ্ছে শ্লোকে,- বিরাম নাই,-
ফুল হ’য়ে তার ফুট্ছে গো শ্লোক ছন্দে আলোক হিল্লোলি।