পরমেষ্ঠী

তখন ছিলনা ‘অস্তি’ ‘নাস্তি,’ না ছিল আকাশ
ভূমণ্ডল,
কে ছিল শরণ? কিবা আবরণ? সে কিগো গহন
গভীর জল?
মৃত্যু ছিল না, না ছিল অমৃত, না ছিল রাত্রি
না ছিল দিন,
বায়ুহীন দেশে নিশ্বাস ল’য়ে ছিল সেই ‘এক’
ক্রিয়া-বিহীন।
আঁধারের বুকে ঘনান্ধকার, ঠাহর না হয়
আকার কোনো,
সে মহার্ণবে আপনার তপে বাড়িতে লাগিল
মহিমা ঘন!
সেই আদিমের মনো-বিন্দুতে ধীরে ধীরে ধীরে
উপজে কাম,
কবিরা জানেন ‘নাস্তি’র সাথে সেই অস্তির
মিলন ধাম।
বিশ্বের বীজ অঙ্কুরি’ উঠে, মহা-মহিমায়
অখিল ভরে;
প্রযত্নবান পুরুষ ঊর্দ্ধে, নিম্নে প্রকৃতি
নিজেরে ধরে।
বিপুল সৃষ্টি!- কোথা হ’তে এল? কে জানে ইহার
জনম দিন?
সৃষ্টি কাহিনী কেমনে জানিবে? সৃষ্ট দেবতা
অর্ব্বাচীন?
পরম ব্যোমের পরম পুরুষ,- বিশ্ব লোকের
যে জন ধাতা,-
সে কথা হয় ত’ তিনিই জানেন, অথবা তিনিও
জানেন না তা’!

প্রজাপতি ঋষি৷