চলিতে চলিতে কিশোর রাখাল
প্রাসাদ ছায়ায় দাঁড়াল আসি’;
নৃপ-বালা, হায়, দেখিল তাহায়,-
প্রেমের লালসা হৃদয়ে বাসি’।
ধীরে কহে বালা “হায় আমি যদি
নিকটে তোমার পেতাম যেতে,-
আহা কি ধবল বৎসের দল,
কিবা রাঙা ফুল ফুটেছে ক্ষেতে!
নীচে হ’তে তবে কহিল রাখাল
“একবার যদি এস গো হেথা,
আহা কি অরুণ কপোল তরুণ,
আহা কি ধবল ও বাহুলতা!”
তার পর, নিতি নীরব ব্যথায়,
প্রাসাদ ছায়ায় দাঁড়াত একা;
নয়ন তুলিয়া রহিত ভুলিয়া
যে অবধি বালা না দিত দেখা।
“এস, এস, এস রাজার দুলালী!”
পুলকের ধ্বনি উঠিত বাজি’;
মধুরে অমনি কহিত রমণী
“রাখাল রে ফিরে এসেছ আজি!”
গেল শীত; এল ফুলের সময়;-
মাঠে, ঘাটে, বাটে মুকুল-লেখা!;
রাখাল ফিরিল, প্রিয়ারে ঢুঁড়িল,
বৃথা হায়,- সে ত’ দিল না দেখা!
“দেখা দাও, ওগো, দেখা দাও ফিরে”
কহিল ফুকারি’ করুণ সুরে;
ধ্বনিল অমনি অশরীরী বাণী-
বিদায়- বিদায় রাখাল ওরে!”
আহ্লাণ্ড।