সে

বনে, প্রান্তরে, শৈলশিখরে সে আছে সীমার পারে,
সে রয়েছে লোক-লোচনের অগোচরে;
লুপ্ত-আলাপ বিশ্ব রাগিণী লিপ্ত করিছে তারে,
পান্থ-পাখীর সাথী হ’য়ে সে বিহরে।
নিভাজ নিবিড় পর্দা দোলায়ে বাতাস যেমন ক’রে
যায় গো জানায়ে আপন আবির্ভাব,-
বাঁশের বাঁশীতে পশিয়া যেমন নিশ্বাস ধরা পড়ে’
ফুকারি’ প্রকাশে গোপন গভীর ভাব,-
তেমনি করিয়া মাঝে মাঝে সে যে ধরা দিতে কাছে আসে,
ধরিতে গেলেই পলায়ে পায়ে ফিরে,
নিতি নব বেশ, বিন্যাস নব, নিতি নব হাসি হাসে,
বিহরে লীলায় অকূলের তীরে তীরে!

সু-কুং তু।