শরতের হাওয়ায়

এই শীতল আলোকে শরতেরি হাওয়া ফিরিছে সঞ্চরি’
তবু তালবীথী দোলে যে তালে,- না দোলে সে তালে বল্লরী!
তরল কাঞ্চনে
বিহরি আন্মনে;
হায়! কার হিয়া দোলে কি তালে এখন, কে জানে সুন্দরী!
কি সুরে সুর ধরি’!

এই নিরাকুল হাওয়া ফিরিছে নীরব ভুবনে ঢেউ তুলি’
বনে সকল যন্ত্রে একা কে যন্ত্রী বুলায় অঙ্গুলি!
তাহারি মন্তরে
সুষমা সঞ্চরে;
তবু শেফালি তেমন হ’লনা বন্ধু যেমন বান্ধুলি!
সে কথা কই ভুলি?

আজ তুমি আর আমি আছি কাছাকাছি এ মর-নন্দনে,
তবু কে জানে কাহার মন দোলে আজ কেমন স্পন্দনে!
এ হৃদি-মন্দিরে
যে সুর বন্দী রে,-
হায়, কোন্খানে আর ওঠে সে রণিয়া এমনি ক্রন্দনে-
গুমরি বন্ধনে!

হায়, কাছে-থেকে-দূর! হয় ত বিধুর তুমিও সুন্দরী!
বুঝি তমালের দলে যে সুরের খেলা জানে তা বল্লরী!
দ্রুত ও মন্থর
কাননে প্রান্তরে,
হায় ধ্বনিয়া রণিয়া ওঠে না কি এক মোহন মন্তরই,-
শারদ দিন ভরি’!