টিকিমেধ যজ্ঞ

দেবতা দিলেন চুল, মানুষ কাটিয়া কৈল ‘টিকি’;
খেয়ালে সে কৈল কাবু সুবিখ্যাত শেয়ালের বাপে
টিকির মাহাত্ম্য লিখি’! সমাচ্ছন্ন টিকির প্রতাপে
অর্ধ ধরা; ব্যাখ্যা হৈল “অহো! টিকি কিনা বৈদ্যুতিকী।”
সেই পুচ্ছ আধ্যাত্মিকী… সেই টিকি… কালে ঝিকিমিকি
নির্মূল করিল সিংহ,- তার রৌপ্য কঁচিটির চাপে।
সর্পযজ্ঞে জন্মেজয় পোড়াইল যথা লক্ষ সাপে,-
সেই মত নষ্ট হৈল বহু টিকি… বৈদিকী… তান্ত্রিকী
টিকিমেধ যজ্ঞে তার;… নষ্ট হৈল সর্প সম ফুঁসি
বাহিরে দেখায়ে রোষ;… মনে মনে মূল্য পেয়ে খুসী
টিকির মালিক যত। অন্তরীক্ষে হাসিল দেবতা;-
অন্ততঃ এ-হেন কাণ্ডে দেবতার হাসিবার কথা।
সাব্যস্ত হইল চুল, শশব্যস্ত টিকি অন্তর্ধান;
কলি যুগে কালীসিংহ উদ্ধারিল দেবতার মান।