ঊর্দ্ধবাহুর প্রেম

গেরুয়া যাহার ব্যক্ত হ’ল রক্ত চেলীর ভিতর থেকে
কুশণ্ডিকার রঙিন্ শিখায় শিউরেছে যে গেরুয়া দেখে
হঠাৎ শুভ শঙ্খ সনে
বাজ্ল শিঙা যাহার মনে
জানি গো তার ভাগ্যে বিধি বারেবারেই উল্টো লেখে।

বরষ পরে বরষ গেছে, গেছে কত দিবস নিশা
নামেনিক উৰ্দ্ধ চক্ষু ছিল জেগে চাতক-তৃষা
আকাশ-মুখো তর্জনীটা
শুকিয়ে কখন হ’ল শিঠা
নাইক খেয়াল গঙ্গা কখন জোয়ার শেষে হ’ল কৃশা!

তবু হঠাৎ বন্যা এল- ফাগুন এল আগুন জ্বেলে!
পাটল ধূলা উড়িয়ে হাওয়া দিল অশোক পলাশ মেলে;
শিথ্লে দিয়ে গেরুয়া আঁচল
বা’র হ’ল ফের চেলীর নিচোল
অকালে হায় প্রেমের বোধন সকল বিধি-বিধান ঠেলে!

অসময়ের এই যে মাতন জম্ল না সে তেমন ক’রে
দরদী ঠিক জুট্ল না কেউ প্রৌঢ় দিনের শেষ বাসরে;
কোথায় কিসের রইল বাধা
গেল না ঠিক কাউকে বাঁধা
উৰ্দ্ধবাহু সন্ন্যাসীর এই একটা বাহুর বাহুর ডোরে!