আমার নাম কে তোরে শিখাইল রে ওরে বাঁশি
ডাকো নিজনাম ধরিয়া মন করলে উদাসী রে।।
বাঁশি রে তুই কাল হইলে কুলবধূর কুল মজাইলে রে
বসিয়া সদা নিরলে নয়নজলে ভাসি রে।।
বাঁশি তোরে বাজায় যে জন দেখলে জুড়ায় পোড়া নয়ন রে
না দেখলে বাঁচে না জীবন কী বলিব বেশি রে।।
বাঁশি রে তোর ভাগ্যগুণে স্থান পাইলে চাঁদ বদনে রে
থাকব আমি সে চরণে হইয়া চিরদাসী রে।।
বাঁশির গানে প্রাণের টানে ছাই দিয়াছি কুলমানে রে
আবদুল করিম এ জীবনে ত্রিজগতে দোষী রে।।
(বিচ্ছেদ)