গরিব বাঁচবে কেমন করে কার কাছে তা জিজ্ঞেস করি
গরিবের বাঁচার সম্বল নাই ধনীরা স্বার্থের পূজারি।।
হাওরেতে জমি নাই অনেকের নাই ভিটে বাড়ি
দিনরাত মজুরি খেটে তবু অনাহারে মরি।।
কৃষক মজুরের সমস্যা বাড়ছে অতি তাড়াতাড়ি
অল্প জমির মালিক যারা তারা হবে দীন ভিখারি।।
ক্ষেত খামার কলকারখানায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করি
তার উপর জুলুম অত্যাচার মুখ খোলে না বলতে পারি।।
খরচ বিনা বিচার পাই না কোর্টে যদি মামলা করি
আইন আদালত গরিবের নয় মিছে এ ভরসা করি।।
ঔষধ ডাক্তার তাদের জন্য আছে যাদের টাকা কড়ি
তাদের জন্য মৌজুদ আছে হসপিটালের পালঙ্ক সিঁড়ি।।
আমাদের দেশ কি করে কই আমরা দেশে চাকরি করি
দেশের মালিক তারা কয়জন যারা করে সাহেবগিরি।।
কৃষিঋণ বলে যাহা ঋণ দেওয়া হয় সরকারি
গরিব কৃষক পায় না তাহা কে করবে এই খবরদারি।।
যেসব কাণ্ডকারখানা মুখ খুলে না বলতে পারি
দেশের মালিক হলো যারা আছে তাদের বাড়ি গাড়ি।।
তাদের প্রয়োজনে আছে স্কুল কলেজ কোর্ট কাঁচারি
তাদের হুকুমে চলে বন্দুক-কামান অস্ত্রধারী।।
শোষকের শাসন ব্যবস্থা যেখানে রয়েছে জারি
ভোটে মুক্তি আসিবে না শুঁটকির নায় বিড়াল ব্যাপারি।।
ভোট নিয়ে অধিকার পেয়ে গরিবের দেয় মাথার বাড়ি
ভোট নেওয়া নয় ধোকা দেওয়া কাজে বলি ভোট শিকারি।।
গরিব কাঙাল কৃষক মজুর এক যদি সব হতে পারি
বাউল আবদুল করিম বলে দুঃখের সাগর দিব পাড়ি।।
(দেশের গান)
(এই গানটির সাথে ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত ‘ভাটির চিঠি’ গ্রন্থের গান ‘গরিব বাঁচবে কেমন করে চিন্তা করে বুঝতে নারি’ গানের সাদৃশ্য রয়েছে। তবে বাক্য বিন্যাসে ভিন্নতা রয়েছে।)