বিপরীত বিহার

বলিহারি যাই তোর অদ্ভুত বররুচি
ভিখিরিও ছোঁবে না যা নোংরা আঙুলে
তাই শেষে তুলে নিলি অমন সুন্দর চঞ্চুপুটে

চঞ্চল স্বভাব তোর, কিন্তু তবু কানা করল কে?
ক্ষুধা? আমি তো রেখেছি যত্নে, উষ্ণ নরম শাদা রুটি
পচা মাংসেই ঘটালি তো রসনার অশুচি।

আমি কি দেখাই নি সূর্যাস্তে নীলিমার রঙীন উদ্যান
আত্মম্ভরিতায় তবু চোখ রাখলি আঁস্তাকুড়ে,
ছেঁড়াখোঁড়া, ত্যক্ত, বিরক্ত বেসামাল বীজাণুর উৎসবে

সান্ধ্যভ্রমণ ভালো, হাওয়া খোলামলো,
অস্থির চরণ তোর নিয়ে গেলো কাফের গুমোটে
যেখানে জটলা পাকায় সমবয়সী বেকার হা-ঘরে বাউণ্ডুলে

সৎসঙ্গ লাগে নি ভালো? সজ্জনের কথা?
কৃমিও যায় না যেই দুর্গন্ধের নর্দমায়, পাকে
সেখানে ভাসালি বুক? যেন আমি রাখি নি পেতে ফেননিভ দুগ্ধশয্যা,

শীতরাতে একটি গরম শাল, নীলরঙা জামা?
কিছুই ধরে না মনে বুজরুকিভরা হে ঐন্দ্রজালিক শাস্ত্রের পণ্ডিত,
নগ্নগাত্রে নেচে নেচে অবশেষে নিবি কি সন্ন্যাস।

দিনে দিনে বৎসরে বৎসরে উৎসবের ঋতুতে
কোন ভূতে পেল তোরে? যখনই চেয়েছি কোন গান
ত্রিকাল বধির করে অশুভ জ্যোতিষী যেন, উদ্ভ্রান্ত গণক
ছুঁড়ে দিলি কেবল চীৎকার।