এই শীতে

শীতার্ত নিঃস্বতায় কিছুই বাঁচে না যেন
বেঁচে থাকা ছাড়া, বসন্তের শিথিল স্তন
নিঃশেষে পান করে নিঃস্বার্থ মাটি
লতা-গুল্ম গাছ কাক শালিক চড়ুই
এমনকি অসহায় গর্তের দেয়ালের জীব……

সে উদ্বৃত্তের দিনে বিপ্রলাপী স্বভাবে যার
আসক্তি আসবে, সেতো মৃত্যুগামী, ডোবেই
এমনকি অগ্রজও টলে, অচিরে হারায়
মনের সমতা সেই ঘনতা: প্রজ্ঞা যার নাম।
কেননা বসন্ত শুধু কবির হৃদয়ে নয়,
কারো-কারো মগজেও নামে;
এবং
তারাও হন্যে হয়, অন্ধকার আশ্লেষে কাঁপে।

অথচ এ-শীতে একা, উদ্ধত আমি,
আমি শুধু পোহাই না স্নান রোদ
প্রতিবেশী পুরুষ নারী আর বিশাল
যে রিক্তগাছ, সে ঈর্ষায় সুখী
নিয়ত উত্তাপ দিই বন্ধু পরিজনে।
আমি শুধু
একাকী সবার জরার মুখোমুখি।

এবং আরো একজনের চোখে দেখি
লক্ষ সূর্যের আসা-যাওয়া এবং সেও একা
আমারই আত্মার মত
প্রাঙ্গণের তরুণ কুকুর।