ইন্দ্রজাল

রাত্রে চাঁদ এলে
লোকগুলো বদলে যায়
দেয়ালে অদ্ভুত আকৃতির ছায়া পড়ে
যেন সারি সারি মুখোশ দুলছে কোন
অদৃশ্য সুতো থেকে
আর হাওয়া ওঠে
ধাতুময় শহরের কোন্ সংগোপন ফাটল
কিংবা হা-খোলা তামাটে মুখ থেকে
হাওয়া ওঠে, হাওয়া ওঠে
সমস্ত শহরময় মিনার চুড়োয় হাওয়া ওঠে

(ওড়ে কত শুকনো কাগজের মত স্বগতোক্তি
খড়কুটোর মত ছোট ছোট স্বর, নৈরাশ্যের কালো ফুল)

কেউ ঢোকে পার্কে, ঝোপ-ঝাড়ে কিংবা
নেমে যায় পিচ্ছিল কৃমির মত
স্বপ্নের সুড়ঙ্গপথে
সহজ, অবাধ; ঠোঁট ফাটে, ঠোঁট ফাটে, ঠোঁট ফাটে
ইচ্ছার মদির চাপে যেন শুঁড়ির রুক্ষ হাতে
টলটলে দ্রাক্ষার মত
ঠোঁট ফাটে।

তখন মুঞ্জরিত মাংসের ঘরে
পাঁচটি প্রদীপ আনে আলোকিত উৎসবের রাত
(ঠোঁট ফাটে, ঠোঁট ফাটে)

তখন ইন্দ্রিয়ের সবুজ ঝোপে
পাঁচটি লাল ফুল আনে সৌরভের রাত
(ঠোঁট ফাটে, ঠোঁট ফাটে)

তখন মোটরের অপরিসর ফিকে আঁধারে
চিনতে কষ্ট হয় সঙ্গিনীর অঙ্গরেখা
উরুর গঠন আর সফেদ দন্তরাজি;
দেয়ালে জানালার কাঁচে নিরন্তর ছায়া নড়ে
লোকগুলো বদলে যায়, বদলে যায়, বদলে যায়
রাত্রে চাঁদ এলে।।