নশ্বর জ্যোৎস্নায়

জ্যোৎস্নায় বিব্রত বাগানের ফুলগুলি, অফুরন্ত
হাওয়ার আশ্চর্য আবিষ্কার করে নিয়ে
চোখের বিষাদ আমি বদলে নি’ আর হতাশারে
নিঃশব্দে বিছিয়ে রাখি বকুলতলায়
সেখানে একাকী রাত্রে, বারান্দার পাশে
সোনালি জরির মতো জোনাকিরা নক্সা জ্বেলে দেবে,

টলটল করবে কেবল এই নক্ষত্রের আলো-জ্বলা জল
অপ্সরার ওষ্ঠ থেকে খসে-পড়া চুম্বনের মতো
তৃষ্ণা নেভানোর প্রতিশ্রুতিতে সজল
এই আটপৌরে পুকুরেই
শামুকে সাজাবে তার আজীবন প্রতীক্ষিত পাড়।

আমার নির্বেদ কোন বালকের ব্যগ্র আঙুলের মতো
আদর জানাবে শাদা, উষ্ণ রাজহাঁসের পালকে,
অবিশ্বাস, মখমলের কালো নক্ষত্রখচিত টুপি প’রে
সশব্দে দরোজা খুলে এক-গাল হাওয়া খেয়ে বেড়াবে বাগানে

পরিত্যক্ত মূল্যবোধ, নতুন ফুলের কৌটোগুলো
জ্বলজ্বলে মনির মতন সংখ্যাহীন জ্যোৎস্না ভরে নিয়ে
নিঃশব্দে থাকবে ফুটে মধ্য-বিশ শতকের ক্লান্ত শিল্পের দিকে চেয়ে
-এইমতো নির্বোধ বিশ্বাস নিয়ে আমি
বসে আছি আজ রাত্রে বারান্দার হাতল-চেয়ারে
জ্যোৎস্নায় হাওয়ায়।