পাশের কামরার প্রেমিক

গলা চিরে থুথু ফ্যালে দাপায় কপাট নড়বড়ে
শ্বাসকষ্টে যা পায় তা’ প্রেম, ঠাণ্ডা হাওয়া
হৃৎপিণ্ডে বিরক্তিকর উৎকট নর্তন
অলৌকিক ইচ্ছা তার তাকে দিয়ে টেবিল বাজায়

মাঝরাতে নিঃসঙ্গতা রাঙিয়ে টেবিলে
একজোড়া লালচোখ, একটি লণ্ঠন
বিশ শতকের সুন্দর সুগোল এক পেটের ভেতরে যেন
দেখে নেয় প্রাক্তন প্রেমিকদের বিধ্বস্ত কবর

চোখের সামনে রাতভর নীলরজ্জু এক মুকুতা দোলায়
আর যেন তারার চুমকি-জ্বালা সেই অন্তর্বাস
যথার্থই সৎচেষ্টায় খুলে দিয়ে আকাশ দেখায়
খেলোয়াড়ের মতন একে-একে শূন্যতার সবগুলো ভাঁজ

তার সামনে সর্পের বঙ্কিম, শান্ত চতুরালি, স্পষ্টত নিস্পাপ
ফোলা-গাল সাপুড়ের ভেঁপু একেবারে নির্ভয়, বিপদমুক্ত,
হস্তের অব্যর্থ ফাঁদে দেয় গলা বাড়িয়ে প্রেমিকা
ঝাঁপিতে আটকে রেখে বাতি-না-জ্বেলেই শোয়া যায়

এ হেন অনেক কিছু, একটু আয়াসে চীনেবাদামের খোসা
ভাঙতে-ভাঙতে পার হওয়া যায় হে দীপ্ত প্রেমিক, বন্ধু, ভাই
যথা শান্ত দুপুরে দেলাক্রোয়ার ক্রুদ্ধ, রুদ্ধ মত্ত অশ্বারোহী
ট্রেনে-কাটা শূকরের লালরক্ত, মৃত্যু, আর্তনাদ।

কিছুই শোনে না কেউ তলপেটে অনাস্বাদিত বিহ্বল কাম
আত্মার ভেতরে ওড়ে নীলমাছি বিরক্তির, মগজে উদ্যান।
দীর্ঘজীবী হোক তবু যেন তার সব স্বপ্নক্রীড়া
মাঝরাতে যে কারণে হিমহস্ত টেবিল বাজায়।