দশ বছর আগে-পরে

দশ বছর আগে দেখা বল্লভপুরের ঘাট স্মৃতিতে জ্বলছিলো।
তাই ধুন্ধুমার বৃষ্টি তুচ্ছ করে, ভিজতে-ভিজতে সেখানে পৌঁছুই;
কানালের বাঁধ ধরে সেখানে পৌঁছনো কষ্টকর, তাই
পথ ধরে গেছি।

সেবার রোদ্দুর ছিলো। ঠা ঠা রোদ, অসহ্য গরম
কুলকুলানো ঘামে ভিজে, ঐ হাঁড়িয়া-মচ্ছবে পৌঁছে গেছি।
চাটায়ে শুকোচ্ছে ভাত, তিজেলে শুয়োর
রামকিংকরের গড়া মূর্তি বসে এখানে-সেখানে,
শিল্পশালা মনে করে গোটা একটি দিন আমরা সেখানে ছিলাম,
সন্ধ্যার মাদল বেজে উঠেছিলো দ্রিমিকি প্রিমিকি
দুটি থেকে দুশো নৃত্যরত পায়ে এগোনো-পেছোনো…
কী যে ভালো লেগেছিলো বল্লভপুরের সেই অসহ্য গরম, গোটা দিন!

এবার সমস্ত গেছে, বদলে গেছে,
উঠোন উধাও আজ ছোটো
নানান দোকানে ফাঁদ পাতা গেছে, মাদল বাজেনি।
রামকিংকরের মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত, বস্তুত নকল

মানুষের মুখচোখ মাত্র দশবছরে বদলে গেছে!