জানিনা কোথায় শব্দ

এ জলে নেভানো শব্দ, কার মতো- আমূল অংশের
প্রসঙ্গে মেলাবে মুখ?
কালো কয়লা টুকরো যে অগ্নিকে
ধরে রাখে, তার মতো? নাকি তাম্রকূট নীল বিষ
নিশ্চিন্ত শিশিরে পড়ে মুছে যায় চোখের আড়ালে-
মানুষের মৃত মুখ জানি পাবো দুই পা বাড়ালে
যদি পা বাড়াই, যদি নেমে পড়ি ছাউনির পাড়ায়
টুপির পাহাড় যদি অলম্বুশ গাছপালা নাড়ায়
তখন শব্দকে কিছু খুঁজে পাবো, যা বাংলার ইট,
বানাবো মন্থর বাড়ি পারম্পর্যে ঘাড় ধরে, গেঁথে
তখন সনেট লিখবো কিংবা গায়ে পড়া চতুর্দশী
লোকে বলবে মিরি বটে, ঘটে-পটে চূড়ান্ত স্বদেশী!
ঘুরে মরি গো-শকটে কিংবা যতো চাঁদ-খেকো গলির
নিশ্চিত সুড়ঙ্গে, পড়ে গুমোট গরম ইলেকট্রিক
গায়ে, বুকে হেঁটে যেতে শামুকের মতন করুণা
এবং যা লাগে, ছায়া, পিছু ফিরি- ছায়া পিছু ফেরে।

ওখানে কি শব্দ ছিলো? কলকাতা ধনসম্পদের
মতন স্বচ্ছন্দ শব্দ কিংবা মধ্যবিত্ত ও মর্কুটে
ছেঁড়াকাঁথা শব্দ ছিলো? লটারির স্বপ্নের গোলাপি
শব্দ ছিলো ঘামে ভিজে, ছাতা পড়ে নরম নৈরাশে?
জানিনা, কোথায় শব্দ জলজ্যান্ত মোহের ভিতরে,
গর্তে যেন সর্পশেষ, লেজ; কিংবা গন্ধের মতন
উষ্ণ ও প্রগল্ভ টান, গান যেন মৃদঙ্গ ভঙ্গুর।