হয়েছিলো নিষ্ক্রান্ত হাওয়ায়, শরণার্থী গন্ধের মতন
জঙ্গলের সুঁড়িপথ ধরে
ওরাওঁ যুবার কাঁধে টাঙি।
গভীর সে-রাতে পেঁচা ডাকে,
আর সবই শুন্শান্ নিশুতি,
ট্যারা হয়ে আছে একা চাঁদ,
তারাগুলি বাতাসের মতো
জলে ভেজা, ভাঙাচোরা, গুঁড়ো-
জঙ্গলও কিছুটা উড়ো পুড়ো
কী যেন কী হবে মনে হয়,
কী যেন কী হবে মনে হয়!
একা কেন চলে ও-যুবক, ওকি প্রকৃতই বন্ধুহীন,
ওকি প্রকৃতই কোনও কাজ করতে যাচ্ছে এ রাতে?
এ-সময় ছিলো না মধুর, দুটি বাধ্য বাহুর সংশ্রবে
থাকা ও স্বপ্নের মধ্যে কথা বলাবলি,
ছিলো না কি ভালো,
কালো যুবাটির দুটি চোখ তবে অমন ঘোরালো,
কেন হনু দুটিতে নিষ্ঠুর পাথরের টুকরো গেঁথে আছে?
পথ চলে পিছনে তাকায়,
কীসের ঘেন্নায় থুতু ফেলে-
‘দিক্’ নয়, জানে হিংস্র পশু
এ অবাধ-অগাধ।।