মানুষ কেন?

এল্‌টে পর্যন্ত পরনের তেনি তোলা
কাদায় মাখামাখি কালো-কোলো ছেলের পাল
ফূর্তির মাছ মারতে লেগেছে, ডোবায়
ডোবার মাঝামাঝি গোড়ালি উঁচু, আল।
ওপার সাবাড়
কুচো কাচা জিয়ল মাছে কোঁচড় ভর্তি
কারো বা কঞ্চির খালই
ভরভরন্ত
এপরের পানি ওপারে ছেঁচে
চালান করে
মাছ মুঠ্‌ করবে।
বর্ষার আগভাগ
ছিষ্টি পড়ে থাক
ছেলেগুলোর পিঠ পুড়ে আগুন
তুঁষের ধোঁয়ায় তিজেল যেন
সেই আগুন নেবাতে তাল তাল পাঁক তুলে
ঘুঁটে দিচ্ছে দেয়ালে
যতটা হাঁসফাঁস কমে
চেষ্টা এই
পরে তো আছেই
মাখন-পাঁকে গড়াগড়ি
ঘুনি-আটল পাতার দিন নয় এখন
এখন সুন্দু ছেঁচে তোলা
ছেঁচে তেল বিনে খলসে ঝলশে খাওয়া
আর যদি হয় শোল
পাড়িয়ে জুড়িয়ে মুখে তোল
পান্তার পাশে নু জুটলেই তোফা
প্রথম বৃষ্টিতেই কান বেয়ে কই
উঠবে।
বাদার জল পকুরে নামার ঝোরায়
তক্কেতক্কে দাঁড়ানো
উলসে উঠবেই কই
তখন কাপ্‌টে ধরা
কাঁটা?
আছে।
কায়দাও আছে
তা নইলে চলে না
পৃথিবীর সর্বত্রই তাই
ঠিকঠাক মতো ধরা চাইই
না হলে ফসকালে
তোমার তেমন ক্ষতি-বৃদ্ধি নেই
এতে?
না থাক
পেছনের লোকটির চোখে
একটা-আধটা উদাহরণ পাততেই হবে
সাফল্যের, সংঘর্ষের, জয়ের
নাহলে তুমি আর মানুষে কেন?
লজ্জাবতী লতা হলেও পারতে!