আমার কবিতা আজ

আমার কবিতা আজ একরাশ পাতার মতন
উড়ে যায়, দূরে যায়, বস্তুত এ সন্ধ্যেবেলা যায়,
কোথায় যে যায়।
চাঁদের কপালে টিপ দিয়ে
পাহাড়ের কোলে দোল খায়,
নাকি জঙ্গলের ভেতরে মরণ
হবে হিংস্রতার সৌন্দর্যের তদারকি পেয়ে
ভেবে সেখানেই খোঁজে অন্তিম আশ্রয়।

কিছু পাতা থেকে যায় বারোয়ারী বিচার সাপেক্ষে
শহর ও গ্রামে; লোকালয়
তুলে নেয় হাত;
কখনো উৎসুক চোখে দ্যাখে, কখনোবা
মরা আরশোলা, বাজে কাগজের সঙ্গে এলেবেলে
ফেলে দেয়, তারপর জানালার বাইরের শোভা
উপভোগ করে।

প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি-এসব কিছুই নেই
কবিতার, আছে শুধু অক্ষরের মালা,
গা গলায় পরে নেচে বেড়ায় সে। একলা আঁধার ঘরে,
আমলকি বনের ভিতর অন্তর্জ্বালা
নিয়ে ওড়ে সারাক্ষণ দূর নীলিমায়,
প্রজাপতিদের সঙ্গে থাকে মধুপুরে;
কখনো হারিয়ে যায়, কে জানে কোথায়!
কখনো শোবার ঘর, কখনো বাবুর্চিখানা ঘুরে
বিস্ময়ের মতো নিরাছুট্রা হঠাৎ হাজির হয় পুনরায়।