আমার উঠোন আমাকে

এই যে কোথায় যাচ্ছো, সাতসকালে চাপিয়ে পাঞ্জাবি?
আরেকটু বসো, গল্প করো, আরেক কাপ চা খাও বরং, এই
তাকাও আমার দিকে। তাকানোর প্রয়োজন নেই?
বড়ো বেশি বাইরে তোমার মন। কতো হাবিজাবি
কাজে যে তোমার বেলা কাটে।
যদি বারান্দায় বসে পড়তে বই কিংবা খাটে
থাকতে শুয়ে, আমার অত্যন্ত লাগতো ভালো, সত্যি আমি
আনন্দ পেতাম, দেখতাম তোমাকেই দূর থেকে।
তোমার সুখ্যাতি হতো, বলতো ওরা, এই তো যথার্থ গৃহস্বামী।

রোদ-চশমায় চোখ ঢেকে
সারা দিনমান করো টো টো;
সময় বইয়ে দাও চা-খানায়, মাঠে, পার্কে, আঠার মতন
লেগে থাকো গুলজার আড্ডায় কিংবা ছোটো
যখন-তখন
পাড়া থেকে পাড়ান্তরে। তবে কি তোমার দেশোদ্ধারে
মন? না কি রক্তে কোনো বিবাগী পূর্বপুরুষ পদ-
চারণা করেন সর্বদাই? এদিকে তোমার দ্বারে
আমার অবোধ স্বপ্ন, ইচ্ছা, ব্যাকুলতা এবং সুখদ
কিছু স্মৃতি করে সত্যাগ্রহ। রাত্রি পাকে, কখন ফিরবে তুমি?
প্রতীক্ষায় কখন যে তেতে ওঠে, আবার জুড়িয়ে যায় ঠিক
চায়ের জলের মতো আমার উদাস এই শরীরের ভূমি!

তুমি তো আমার বুকে রাখোনি কখনও রক্তজবা
ভালোবেসে। অথচ তোমার মৃত্যু হলে আকস্মিক,
কেউ বুঝুক না বুঝুক, হয়ে যাবো আমি তো বিধবা।