আমি ছাড়া কে জানে

সোফায় এলানো তার শরীরের বাঁক দেখে ভাবি-
কী আশ্চর্য, নিজের ভেতরে
কেমন নিশ্চপ কত জটিল কাহিনী, কল্পকথা, শোকগাথা,
স্বপ্নের নিবিড় ভাষা লুকিয়ে রেখেছে।

ক্ষণিক বিশ্রামে তার গূঢ় রহস্যের বর্ণচ্ছটা
শুয়ে আছে। কে বলবে যে এখন পিঠে এক রাশ কালো চুল
ছড়িয়ে রয়েছে বসে, সে এমন শক্তি ধরে যাতে
আমার বুকের মধ্যে কালবৈশাখী তুফান ওঠে,
ভয়ংকর মনোহর
বিদ্যুল্লতা খেলা করে বারবার নীড়সুদ্ধ গাছ অগোচরে
পুড়ে খাক হয়,
এই মধ্যবয়সীরও শিরায় শিরায় জ্বলে প্রখর দেয়ালি।
আমি ছাড়া কে জানে এখন
যে এমন ভীরু দৃষ্টি মেলে দ্যায় হরিণীর মতো, তার চোখে
চকিতে ঝলসে ওঠে স্বেচ্ছাচারী কাতিলের ধারালো খঞ্জর?