আমি অনাহারী

আমাকে তোমরা দেখলে না? আমার বুকের পাশে
জামতলা, সর্ষে ক্ষেত, মেঘের মতন ঘাসে ঘাসে
প্রজাপতি; রাজধানী আমার দু’চোখে অস্ত যায়।
আমার পড়শি নেই, আরশিও চুরমার; এ ভীষণ নিরালায়
পড়ে থাকি। গোলাপজলের মতো স্নিগ্ধ করুণা এখন সাত তাড়াতাড়ি
দেবে কি ছিটিয়ে দূরে থেকে? পিপাসার্ত রইবো আমি অনাহারী!

আমাকে তোমরা দেখলে না, সরল রেখার মতো পড়ে আছি
কবে থেকে একা একবিংশ শতাব্দীর খুব কাছাকাছি।
যতই মুর্দাফরাশ ডাকো,
বাঘের মতন হাঁকো,
সরবো না এক চুলও। শেষতক
জন্তুতে-আমাতে ঠিক কতটা ফারাক, বলবেন গবেষক।
তণ্ডুল করিনি স্পর্শ কতদিন, ছুঁইনি কোমল কোনো নারী;
হাওয়ায় হাওয়ায় রটে দিনরাত, আমি অনাহারী
ওখানে কী আছে আমি যেতে চাই। বারবার
দিয়েছো ফিরিয়ে দ্বারপ্রান্ত থেকে; আর
যাবো না ব্যথিত ফিরে অভিমানে। আমি শস্ত্রপাণি,
দেখছো না? নৈরাশ এবং ভয় করেছি রপ্তানি
নিরুদ্দেশে, অন্ধ
হলেও রাখবো চোখ মেলে ঠিক, দেখে নিও। সব দিক বন্ধ?
শুনবো না মানা, হেঁই দ্বারী-
ঝট্‌পট্‌ হটো, ভেতরে না গিয়ে মরবো না আমি অনাহারী।