আসমানে উড়বে পায়রা

পুতুলের মতো
ফুটফুটে, ছোট মেয়েটির কথা ছিল
সুন্দর খেলনা নিয়ে ঘরের ভেতর
খেলায় নিমগ্ন থাকা। অথচ সে পথে
ধুলোবালি আর পাশে মায়ের লাশের
দিকে কান্নাময় চোখে তাকিয়ে রয়েছে। হন্তারক
বুলেটের সন্ত্রাসে মহিলা নিমেষেই জীবনের
শাখা থেকে পরিপক্ব ফলের মতোই খসেছেন!

কী-যে হবে মাতৃহীন শিশুটির পরিণাম, বলা
মুশকিল। ভয়াবহ যুদ্ধপীড়িত সময়ে এই
পিতৃমাতৃহীন বালিকার ভবিষ্যৎ ঠিক কোন রূপ নেবে
এ প্রশ্নের জবাব এখন পাওয়া যাবে কার কাছে?
উড়োজাহাজের
গর্ভ কিংবা ট্যাঙ্কবাহী কামানের গলা
সোৎসাহে উগরে দেয় মৃত্যুময় গোলা।
নিমেষেই মাটি গিলে খায় কত তরতাজা প্রাণ!
সেই সব অগ্নিকুণ্ড জানে না, বোঝে না প্রতিপক্ষ
খৃস্টান, মুসলমান নাকি
অন্য কোনও ধর্মীয় বিশ্বাসে নিবেদিত-
মৃত্যুর মুহূর্তে কেউ জানে না কোথায় তার লাশ পাবে ঠাঁই।

এই দুনিয়ায়
ন্যায়ের নেই কি কোনও বিজয়ের আশা?
‘আছে, আছে’ ব’লে ধূমায়িত মেঘ থেকে
কে পাখি আশার সুরে গান গেয়ে যায়।

একদিন বাগদাদ, বসরার গুলবাগ থেকে
হবে দূর অশুভের ছায়া, মানব মানবী ফের
সাজাবে সংসার ভালোবেসে প্রশান্তির ছায়াতলে;
আসমানে উড়বে পায়রা শত শত উৎসবের দীপ্ত তালে।

৬-৪-২০০৩