বিষাদের ছায়া

এ ভাবে কি নিষ্প্রাণ, নিস্পৃহ থাকা যায়
বেশি দিন নিজের ছায়ার মতো? থাকা কি উচিত
আপনজনের মাঝে? তাহলে তো নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হবে
আমার দিকেই বারবার। বস্তুত হলোও ঠিক তাই। অনেকেই
আমাকে প্রশ্নের জালে আটকে মেটাতে চাইলেন
কৌতূহল। কী বলবো? পাইনি উত্তর খুঁজে কোনও।
তারপর থেকে নিজ বাসগৃহের বাসিন্দা কাছে এলে হাসি
এঁকে মুখে নানা কথা বলি,
কিন্তু, হায়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছন্দ পতনের ফলে
হাসি উবে যায় আর নিজেকেই খুব বোকা-বোকা মনে হয়।

কখনও কখনও ভাবি, অপূর্ব আনন্দনিকেতনে
আছি হেসে খেলে, সত্যি-সত্যি
কোথাও নিকট থেকে দুঃখ ভোলানো গানের সুর
কী মধুর ভেসে এসে আমাকে দখল করে নিচ্ছে ক্রমাগত।

আমি তো নিজেই জানি নকল আনন্দ বেশিক্ষণ
যায় না টিকিয়ে রাখা, যেমন অপটু অভিনেতা
খানিক পরেই ঠিক নিজের ব্যর্থতা তুলে ধরে
দর্শকের কাছে। তবু আমি মাঝে মাঝে
নিজ বাসগৃহের বাসিন্দাদের সন্দেহ ঘোচাতে চটপট
হাস্যরস জড়ানো গল্পের অবতারণা ক’রেই
হাসির ফোয়ারা খুলে দিই সাড়ম্বরে কখনও বা
ভূতুড়ে গল্পের শিহরন সৃষ্টিতে উদ্যোগী হই রাতিবেলা।

অথচ আমার বিষণ্ণতা ভেসে ওঠে বারবার চেহারায়,
মধ্যরাতে গাঢ়তর হয়ে পড়ে বিষাদের ছায়া।

১৮-১২-২০০২