বন্যার পশুর মতো

কদ্দিন বাঁচবো আর? আর কদ্দিন জীবন নাম্নী রমণীর
সঙ্গে খুনসুটি করে যাবো?
ভোরবেলা বাঘবন্দি খেলি, দ্বিপ্রহরে
হাত ধ’রে তার
নিরাছুট্রা ঘুরে শহরের
আনাচে কানাচে,
বিকেলে লেহন করি ছায়া, রাত্রি কাটে
কখনো স্বপ্নের, কখনো বা দুঃস্বপ্নের ঊর্ণাজালে।

এরকম হয় মাঝে মাঝে-
যখন কাচের থালা আমার সম্মুখে
নিভৃতে সাজিয়ে রাখে কেউ, পাত্রে ঢালে প্রোজ্জ্বল পানীয়
তখন সে হঠাৎ আমার হাতে অজস্র স্লিপিং পিল ঝুর ঝুর ক’রে
নিঝুম ঝরিয়ে দেয়, বাজায় ট্রেনের হুইস্‌ল
বারবার; আমি সম্মোহিত
মানুষের মতো আচরণে
কেমন অদ্ভুত হয়ে উঠি, এদিকে ওদিকে যাই,
খুব লুটোপুটি খাই ধুলোয় কাদায়।

আমার দর্পণ ফুঁড়ে কে আসে কে যায়
বোঝা দায়, অস্পষ্টতা এলেবেলে টিপ সই দিয়েছে এখানে;
দর্পণের ভেতরের কেউ
আমাকে আলাপচারিতায়
উদ্বুদ্ধ করতে চায়, কাচের ওপরে দীর্ঘশ্বাস
মেঘের মতন জমে থাকে। অন্ধকারে
চলেছি স্রোতের টানে বন্যায় পশুর মতো উদ্বেগ-নির্ভর,
চলেছিতো।