ব্রাইটন বীচে

জুতোয় পালিশ আছে কি নেই, শার্টের কলারের
ভাঁজ খুঁতময় নাকি চুল এলোমেলো
এ নিয়ে ভাবার কোনো অবকাশ ছিল না মোটেই
ব্রুকলীন ব্রাইটন বীচের সুউচ্চ সাততলা
অ্যাপার্টমেন্টের বড় জানালার সম্মুখে দাঁড়িয়ে।
এ কী? এ কী? সমুদ্র ঝাঁপিয়ে পড়ে বুঝি
ঘরের ভেতর খল খল হেসে।
একটি কি দু’টি গাংচিল বেড়ায় ভেসে ঢেউ ছুঁয়ে,
কখনো বা জানালার কাচ প্রায় ছোঁয়
অবারিত ডানার উল্লাসে।
মাঝে-মাঝে কয়েকটি গাংচিল পোহায়
রোদ সুখে নিরিবিলি ব্রাইটন বীচের বালিতে।

জানালার কাছে ব’সে দূর থেকে দেখি
ফেনিল সমুদ্রতটে টপলেস স্নানার্থিনী ঘোরে,
কেউ গা ভাসায় নীল জলে। অকস্মাৎ
মনে হয়, মলুয়া সুন্দরী আর বেহুলা সাগরে নামে আর
আফ্রোদিতি সমস্ত শরীরময় সাদা ফেনা নিয়ে
ব্রাইটন বীচে উঠে আসে।
পরমুহূর্তেই দেখি, ওরা কেউ নয়, প্রিয়তমা শুধু তুমি
কী সুন্দর রয়েছ দাঁড়িয়ে আর শরীর ছড়াচ্ছে বিন্দু বিন্দু মুক্তো-জল।

নিউইয়র্ক, ৮ অক্টোবর, ১৯৯৫