বুড়োটে নাবিক

বুড়োটে নাবিক বেলাশেযে চাখানায় গল্প করে
সমুদ্রের। চায়ের কাপের তাপে ক্রমে ভাটা পড়ে।
একে একে উঠে যায় অনেকেই কাঠের চেয়ার
আর টুল ছেড়ে, কেউ ভুল ক’রে ফেলে যায় তার
দেশলাই, হাই তোলে পথের কুকুর। অকস্মাৎ
নাবিকের রক্তে জাগে প্রবল কল্লোল, শীর্ণ হাত
তলোয়ার মাছ হয়ে স্মৃতির তরঙ্গে নাচে, বুক
স্পন্দিত দ্বীপের গানে, নীল জামা তার স্বপ্নভূক।

রাত বাড়ে, বুড়োটে নাবিক আস্তে সুস্থে গল্পে ছেদ
টেনে আর ঝেড়ে ফেলে কবেকার মিলন-বিচ্ছেদ
সমুদ্রের ফেনার মতন পথে নামে, অন্ধকারে
চোখ মেলে স্বপ্নময়তায় তীব্র খোঁজে বারে বারে
কখনো ধোঁয়াটে বন্দুরের তন্বীটিকে, কখনোবা
পদ্মাসনে একা ক্ষুধাশীর্ণ বুদ্ধের মুর্তির শোভা।