চিড়িয়াখানা থেকে ফিরে এসে

পুনরায় পশু পাখিদের সৌন্দর্য এসেছি দেখে
চড়ুইভাতির ছলে। বেশ কিছুদিন এইমতো
কাছ থেকে ওদের হয়নি দেখা; শুধু ইতস্তত
একটি কি দু’টি পাখি অথবা বানর ব্যতিরেকে
দেখিনি তেমন কিছু, বলা যায়, আশেপাশে আজ
খাঁচার আড়ালে এক সিংহের উজ্জ্বল বিস্ফোরিত
কেশর এবং পার্শ্বস্থিত মাঠে কিছু সচকিত
হরিণের কেমন তাকানো, স্বাভাবিক কারুকাজ
ওদের মসৃণ শরীরের দেখে মুগ্ধ, বিশেষত গরিলা ও
শিম্পাঞ্জীর আচরণে মজা আমি পেয়েছি প্রচুর।
তাদের অমন মুখভঙ্গী দেখে এই শিল্পাতুর
মন, দ্বিধাহীন বলা যায়, যদি স্বীকারোক্তি চাও-
ভেবেছিল হঠাৎ রর্দার ভাবুকের মুখ আর
সে মুহূর্তে বিষণ্নতা করেছিল দখল আমাকে।

ফিরে এসে জামা ছাড়ি, ক্লান্ত মুখ ধুই, এক ফাঁকে
‘রুটস’-এর কিছু প্তা ওল্টাই, চা খাই, অন্ধকার
সাজায় অরণ্য চতুর্দিকে। নিমেষে কত কী ঘটে
আরণ্যক; খুন, রাহাজানি চলে প্রহরে প্রহরে-
পশুকে মানায় হার দ্বিপদী প্রাণীরা এ শহরে।
তবু স্বস্তি মুকুলিত-এখনও মানুষ আছি বটে।