চরম সমন

আমার কী অপরাধ বোঝার আগেই
হে আমার মনোনীতা তুমি
আমাকে দেখিয়ে দিলে খোলা দরজাটা।
যেন পথে কাঁটা
বিছানো, এমন ভঙ্গিমায় আমি সেই
অপরাহ্নে নিঃশব্দে গেলাম হেঁটে। ভূমি
বারবার উঠেছিল টলে
আমার পায়ের নিচে। বুঝি পড়েছি অগাধ জলে।

একবার ঠিক আমন্ত্রিত অতিথি হয়েও সভাগৃহ থেকে
উঠে যেতে হলো গায়ে কাদা মেখে
কারণ আমার আমন্ত্রণলিপি নাকি কলঙ্কিত
বিস্তর প্রমাদে, আমি ভীত
সস্ত্রস্ত গেলাম ফিরে প্রতিবাদহীণ মাথা হেঁট
করে ঝলমলে ভিড় ছেড়ে, কারা স্টুপিড, গবেট
বলে দিলো প্রচুর ধিক্কার, না দেখেই কোনোমতে
নেমে পড়ি পথে।

দেখেছি দুপুরুবেলা পথচারী জমকালো গাড়িচাপা পড়ে
আমাকে জড়িয়ে জড়িয়ে ধরে বিকারের ঘোরে
কৃতজ্ঞতা অস্পষ্ট জানায়
আমাকে এবং আমি তাকে হোলি ক্রস
হাসপাতালের বেডে নিয়ে যাবো ভাবি,
অকস্মাৎ চতুর্দিক থেকে দশজন লোক আমার পাঞ্জাবি
ক্রুদ্ধ টানে ছিঁড়ে টেনে নিয়ে যায় কাছের থানায়,
তাদের মুঠোয় আমি ভীরু খরগোশ।
সপ্তাহান্তের মধ্যরাতে রজস্বলা মেয়ে
বৌদ্ধ ভিক্ষুণীর মতো শরীরে আগুন
দিয়ে চারতলা ফ্ল্যাটে হলো খুন।
জানি না কী নাম তার, শুধু সিঁড়ি বেয়ে
ওঠা কিংবা নামার সময় চোখে পড়েছে যৌবন
তার কালেভদ্রে। তিন দিন তিন রাত্রি পরে
ক্লান্ত হয়ে ঘরে
ফিরে দেখি প্রহরী আমার নামে নিয়ে আসে চরম সমন।