দাঁড়া আছে তারও

চোখে চোখ, হাতে হাত, আর
ঠোঁটের উপরে ঠোঁট রাখলেই বুঝি
ধরে নিতে হবে
ভালবাসা তার বাস্তুভিটা পেয়ে গেছে?

কখনো সখনো
ধ’রে নিয়ে নিজেকে আস্বস্ত করি বটে,
অথচ আমাকে অস্বস্তির পিঁপড়ে সুযোগ পেলেই
কামড়াতে থাকে

ধারণা এবং বাস্তবের
মধ্যে প্রকৃতই বিঘত ব্যবধান,
এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের তীরে ভেলা বেয়ে নিয়ে যাওয়া
তেমন সহজ নয়। তাই
যখন ডাগর চোখে গভীর তাকায় ভালোবাসা,
মনে মনে ‘কী সুন্দর’ ব’লে
অপলক চেয়ে থাকি, প্রকৃত প্রস্তাবে
বলি না কিছুই।

যখন মগজে কোকিলের গান আর
রক্তে জুঁই মল্লিকার ঘ্রাণ, সরোদের তান নিয়ে
দাঁড়াই সম্মুখে তার, তক্ষুণি ঝাঁঝালো
স্বরে বলে, ‘চলে যাও, শ্যামলিম অন্তরের দিকে।
ক্ষুধা ছিল, তৃষ্ণা ছিল আকণ্ঠ আমার।
দস্তুরমাফিক
মোহন দস্তরখান বিছিয়ে দিয়েও তুলে নিলো
এক ঝটকায় ভালোবাসা।
যা হলো ভালই হলো, নইলে
কে জানতো কাঁকড়াবিছের মতো দাঁড়া আছে তারও।