দাঁড়ালেই টলতে থাকি

দাঁড়ালেই টলতে থাকি, খানিক হাঁটতে
চেষ্টা করলেই রুক্ষ ধূসর ধুলোয়
স্রেফ মুখ থুবড়ে পড়ি, আবার কখনও
খাবি খাই থকথকে কাদায়, এখন
আমার এমনই হাল। শক্ররা চৌদিকে
ফেটে পড়ে ঠা ঠা অট্টহাসিতে এবং বন্ধুবান্ধব বেজায়
মনোকষ্টে ভোগেন আমার অবাঞ্ছিত
এ দুর্দশা দেখে।

লজ্জায় কুঁকড়ে থাকি, নিজেকে লুকোতে ইচ্ছে করে,
যেমন আহত জন্তু খোঁজে অন্ধকার গুহা। এই অক্ষমতা
জানি না ভোগাবে কতদিন, কতকাল
আমাকে রাখবে ফেলে ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো হিংস্র,
ঘোর অমাবস্যার দখলে! কারও করুণার পাত্র
হয়ে থাকা, বুকে হেঁটে পথচলা, ব্যথিত দু’চোখে
তাকানো, কম্পিত ঠোঁটময়
করুণ অথচ তুচ্ছ আবেদন নিয়ে বেঁচে থাকা,
আত্মাময় গ্লানি সেঁটে নিত্যদিন হামাগুড়ি দেয়া,
কেবল নিজের মাংস নিজ দাঁতে ছেঁড়ারই শামিল।

যখন ভোরের আলো চুমো খায় আমাকে এবং
পূর্ণিমা সপ্রেম করে আলিঙ্গন, আমার ক্ষতের
ছেঁড়া ন্যাকড়াগুলো খসে যায়, কোথাও সরোদ বেজে উঠলেই
আমার সত্তায় ঘটে রূপান্তর, আমার নমিত
কেশগুচ্ছ হয়ে ওঠে স্যামসীন দুরন্ত কেশর হলমায়
এবং মশকরা-প্রিয় লোকজন পালাবার পথ খুঁজে মরে!

০২.০১.২০০০