দিগ্‌নির্দেশ

বৈকালী হাওয়া গুঞ্জন তোলে আমার কানে-
উত্তরে তুমি অবশ্য পাবে প্রিয়তমাকে’।
পথ চলি একা সেই ভরসায় নাছোড় টানে,
কিন্তু সেখানে শত বিভ্রমে পাই না তাকে।
সুকণ্ঠ এক পাখি গান খেয়ে জানায়, ‘তুমি
দক্ষিণে গেলে পেতে পারো তাকে ঝর্ণা তলে।
সারাদিন হেঁটে সন্ধ্যায় দেখি নিঝুম ভূমি,
ঝর্ণার ধারে শুধু এক ঝাঁক জোনাক জ্বলে।

যে নদীর সাথে ছিল শৈশবে সখ্য সেই
বেদেনীর মতো তরঙ্গময় নদীর ঢেউ
বললো, ‘পথিক, যদি যাও পূবে, পাবে তাকেই।
সেদিকে পৌঁছে দেখি সেখানেও নেই যে কেউ।

একটি বয়েসী বট করে গাঢ় উচ্চারণ,
‘পশ্চিম গেলে পাবে তার হাত তোমার হাতে’।
পশ্চিম দিকে বৃথা ঘুরে মরি, কী নির্জন
রাত্রি মুখর একাকিত্বের বন্দনাতে!

সবদিকে হেঁটে পাড়ি দিয়ে তের গহন নদী
মনোনীতা সেই নারীকে আমার হয়নি পাওয়া।
পাওয়া না-পাওয়া একই মুদ্রার দু’পিঠ যদি,
তাহলে খামকা কেন এই যাওয়া, কেবল যাওয়া?