দূর্মর আকাঙ্ক্ষা

আমি তো আপনকার ডেরা থেকে দূরে, বহুদূরে,
শতশত ক্রোশ দূরে চলে
এসেছি তখন এই সমুদ্র কিনারে,
যেখানে তরঙ্গগুলি প্রবল ঝাঁপিয়ে পড়ে আর্মির ধরনে-
যে সমুদ্রতীরে মাইকেল মধূসূদন একদা রেখেছেন পদযুগ
ধূসর অতীতে, মনে পড়ে। আমি আজ অবেলায়
এলাম অসুস্থ দু’চোখের নিরাময় আশা করে। তারাহারা
আকাশ কি একেবারে বাতিল কাগজ? অবান্তর, মূল্যহীন?

আমিই তো বলেছি সেদিন,
‘শিশুকে রেখো না দূরে, কাছে টেনে নাও’,
অথচ আমারই কাণ্ড দ্যাখো, বড় প্রিয়
দু’টি শিশুকেই বড় দূরে ফেলে রেখে
এসেছি এখানে, বসে আমি একা, আমাকে জড়িয়ে
রয়েছে বিষণ্ন নীরবতা।

কাঁকড়ার মতো ভয় কী হিংস্র দখল করে নেয়,-
যদি দৃষ্টি নিভে যায় একেবারে, যদি কাউকেই
দেখতে না পাই আর, যদি
আখেরে না ফিরে যেতে পারি আপন ডেরায় তবে
কী হবে? কী হবে? দৃষ্টি ফিরে পাই আর না-ই পাই,
নিজের ডেরায় গিয়ে শিশুদের বুকে নিতে চাই।