এই যে বিশ্বের নানা এলাকায়

পশু, পাখি অনর্থক আহত করে না মানুষকে, ধবধবে
শার্ট, ট্রাউজার-পরা দুরন্ত মানুষ প্রায়শই
ঝরায় রক্তের বৃষ্টি, চিহ্ন যার
কখনো পড়ে না ধরা চর্মচক্ষু শতবার খুঁজলেও। শুধু
উদ্দিষ্ট শিকার ষোলআনা পায় টের
অদৃশ্য অস্ত্রের ধার। মর্মপীড়া বেড়ে চলে প্রহরে প্রহরে।

এই আমি শত চেষ্টা সত্ত্বেও হয়েছি ব্যর্থ ক্ষত
সৃষ্টি করে ভোগাতে শক্রকে। অকেল্যাণ
করিনি কামনা তার অমাবস্যা-রাতে। থাক, থাক,
সুখে থাক সেই অকল্যাণকামী আমার সর্বদা।

এই যে বিশ্বের নানা এলাকায়
হৈ-হাঙ্গামা চলছে হামেশা, মানুষের
তাণ্ডবে ঝরছে রক্ত মানবের যখন তখন-
বড় বেশি বিবমিষা জাগে
সে সব দৃশ্যের কথা ভেবে
নানা দেশে বিচলিত নাগরিকদের।

তুমি যে এখন নিজ বাসভূমে একলা ঘরের
এক কোণে বসে বাগদাদ, বসরার ভগ্নস্তূপ
দেখছো টিভিতে আর সংবাদপত্রের
পাতা জুড়ে পুত্র, কন্যা-হারা জননীর
ছবি, মূক হয়ে থাকা ছাড়া কী-ই বা করতে পারো?
সমবেদনার ঢলে আর্তনাদ আর্তনাদ যাবে নাতো ভেসে।

এখন তো বিচূর্ণ, ব্যথিত ইরাকের বুক জুড়ে
আহাজারি; মাঝে মাঝে প্রতিবাদী মিছিলের গর্জনে সুনীল
আসমান কেঁপে ওঠে। বসরার প্রোজ্জ্বল গোলাপ
হতে চায় ফের স্বাধীনতাকামী জনতার প্রাণের ইরাক।

৪-৫-২০০৩