এই পথ

এই পথ
বড় আঁকাবাঁকা,
অত্যন্ত ঘোরালো, সরু, বহুদূর চলে গেছে দিগন্তের দিকে।
পথসঙ্গী ছিল যারা তারা
একে
একে
একে
ঝরে যায়,
যেমন রূপোর টাকা ছোঁড়া জেব থেকে।
নারকেলকুঞ্জ মেচেতার মতো
পুঞ্জ পুঞ্জ ছায়া
ফেলেছে পথের ধারে, সেখানে হরিণ
ব্যাঘ্র-লোভ থেকে দূরে ব্যগ্র
চলে আসে শান্তি বিহারের
আশায় একাকী।
মোটরের ধমকে নিমেষে
চমকিত, দেয় লাফ পার্শ্ববর্তী ঘন
বনের ভেতর
ফুলের পরাগগুলি
থ্যাঁৎলানো, কিছু পদচ্ছাপ
মিশে গেছে ঘাসে, নীড়ছুট
পাখি উড়ে যায় মাথার ওপর;
নিঃশব্দ কে আসে
আমার পেছনে?
আমার নিজেরই প্রেত? নাকি
অন্য কোন প্রাণী?
কী করে যে অনুসৃত হয়ে উঠি ঘোর অবেলায়?
এই আঁকা-বাঁকা
পাকদণ্ডী বেয়ে একা-একা
এরকম সম্বলবিহীন
কোথায় চলেছি কোন্‌ সূর্যাস্তের দিকে?
পাকদণ্ডী দেয়না আশ্বাস কোনো, শুধু ঘুরে ঘুরে
একই স্থানে ফিরে আসা। সুন্দরীর জিভের মতন
বের-হয়ে আসা
পুষ্প পরাগকে বলি, শান্ত গাছের উদ্দেশে বলি-
আমাকে দেখাও পথ ধ্যানী;
চোখ বন্ধ ক’রে অন্ধকারে হেঁটে হেঁটে
এখন কোথায় যাবো? কার কাছে যাবো?