এই সড়কে

চতুর্দিকে হইচই শুধু, পাড়া বেজায় সরগম।
ঝগড়াঝাটি, একটানা ঐ
মাইক্রোফোনে চ্যাঁচামেচি, সবটা মিলে কানে তালা
দাঁতকপাটি লাগার পালা।

ঝাঁঝালো এই পরিবেশে সবজি এবং নুন-মশলা,
খিস্তি খেউড় ইত্যাদিতে
বাস্তবিকই ডাইনে-বাঁয়ে চলছে বটে গেরস্থালি।
দিচ্ছে সবাই করতালি।
আকাশটাকে ভেংচি কেটে, থেঁৎলে দিয়ে কৃষ্ণচূড়া
রকবাজেরা মত্ত হলো।
ক’জন আবার চোখের গর্তে, ম্লান চিবুকে বিষাদ নিয়ে
হঠাৎ ওঠে গুনগুনিয়ে।

এই তো ওরা দাফন সেরে বেরাদরের রাতদুপুরে
শুঁড়িখানায় হল্লা করে।
বমন করে তিক্ত অতীত লাথি ছোড়ে কালের পাছায়,
জ্যোৎস্না ধারায় হস্ত আঁচায়।

এদিকে-ওদিকে দৃষ্টি মেলে হে কবিতা, সখি আমার,
হলে তুমি মর্মাহত?
দেখতে কি চাও পাহাড়ি সেই ঝর্ণাটিকে? কিংবা ধরো
সাঁঝের ভেলা থরো থরো?

দূর সে মেঘের আস্তিনে মুখ ঢেকে তুমি
থাকতে কী চাও এলোকেশী?
রুক্ষ এমন রুগ্ন এমন সরজমিনে, আস্তাকুঁড়ে
বাজতে হবে আপন সুরে।
এই সড়কে, হে কবিতা, সখি আমার, পারবে হতে
এক নিমেষে রক্ষাকালী?
বন্দুকের ঐ নলগুলোকে পারবে তুমি ঘুম পাড়াতে?
অবিশ্বাসী সাপ তাড়াতে?