একদা

সতেজ ঘাসের মতো চকচকে এক ঘোড়া দৌড়ে এসে
একটা জলাশয়ের সামনে দাঁড়ালো।
তখনো তার কেশর থেকে, ক্ষুর থেকে মুছে যায়নি সূর্যাস্তের রঙ।

টলটলে জলের দিকে গ্রীবা বাড়িয়ে
দেখলো সে, আধখানা চাঁদ বন্দিনি রাজকন্যার মতো
চেয়ে আছে তার চোখের প্রতি।
বনের ঘন কালো আকাশের নিষ্পলক চেয়ে থাকা-
সব কিছু অমান্য করে সে
তার মুখ বাড়িয়ে দিলো জলাশয়ে, জলপানের জন্যে নয়,
বন্দিনি রাজকন্যার ওষ্ঠে চুম্বন আঁকার জন্যে।

শীতল পানির স্পর্শ নিয়ে ফিরে এল ওর মুখ
অচুম্বিত, বিচূর্ণিত চাঁদ
প্রত্যাবর্তন করে তার নিজস্ব অবয়বে।
তেজী আর চকচকে ঘোড়াটার কেশর থেকে
ঝরতে থাকে বিন্দু বিন্দু
জলের মতো স্বপ্ন আর
স্বপ্নের মতো জল।

রহস্যময় বনের দিকে তাকিয়ে
হঠাৎ ঘোড়াটার মনে পড়ে গেল
সেই ভুলুণ্ঠিত তেজস্বী সওয়ারের কথা, একদা যে তার পিঠে বসে
ঘুরে বেড়াতো দূর-দূরান্তে,
যার হাতে ছিল ভালোবাসার পতাকা
আর মাথায় সূর্যের মতো উষ্ণীষ।