এখন তোমার ছুটি নেই

একদা সেই কোন্‌ খেয়ালে খুব আড়ালে
একলা তুমি বেলাবেলি পা বাড়ালে।
বৃথাই এখন খুঁজছো ডেরা আশেপাশে,
বৃথাই তুমি ঘুমোতে চাও শান্ত ঘাসে-
ছুটতে হবে, আরো অনেক ছুটতে হবে,
এখন তোমার ছুটি নেই।

কখন থেকে বের করে জিভ ছুটছো। শুধু
ছায়াবিহীন পথের কায়া করছে ধুধু;
একটু গেলেই পথের সীমা যাচ্ছে বেড়ে,
ভয়-দেখানো জন্তুগুলি আসছে তেড়ে,
সামনে তবু ছুটতে হবে, ছুটতে হবে;
এখন তোমার ছুটি নেই।

ক্লান্তি হঠাৎ কির্কী হ’য়ে তোমার গালে
ওষ্ঠ রেখে বাঁধতে পারে কুহক-জালে;
ধুলোর ঝড়ে অন্ধ হ’য়ে ঘুরতে পারো,
বন্ধ হ’তে পারে সাধের সিংহদ্বারও,
তবু ভীষণ ছুটতে হবে, ছুটতে হবে;
এখন তোমার ছুটি নেই।

পেছন ফিরে তাকাও যদি বারেবারে,
একটু তুমি জিরোও যদি পথের ধারে,
রুক্ষ পথে চক্ষু যদি আসে বুজে,
সামনে পথের সীমানা আর না পাও খুঁজে,
একলা পথে ছুটতে হবে, ছুটতে হবে,
এখন তোমার ছুটি নেই।

মিনার টিনার দেখতে তুমি পাচ্ছো না কি?
পড়লো চোখে অচিন বাগের স্বর্ণ পাখি?
দৃষ্টি যদি আহত হয় নেই-এর ঘায়ে,
তীক্ষ্ম কাঁটা বিঁধতে থাকে যুগল পায়ে,
ব্যগ্র পায়ে ছুটতে হবে,
এখন তোমার ছুটি নেই।

খাদের পাশে পৌঁছে শুধু থাকবে চেয়ে?
ভয় পেলে কি ক’খানা হাড় দেখতে পেয়ে?
লক্ষ্য তোমার ক্রমাগত যাচ্ছে সরে?
পাথুরে সব মূর্তিগুলি থাকুক পড়ে;
ছুটতে হবে, দ্বিধাবিহীন, ছুটতে হবে,
এখন তোমার ছুটি নেই।