ফিরে তাকাব না

শপথ নিলাম, কিছুতেই ফিরে তাকাব না আর।
পেরিয়ে এসেছি বহু দীর্ঘ পথ, পায়ে বহু ক্ষত,
দগদগে, তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই
শুকোবে এ ক্ষত, মুছে যাবে এই মুখের আঁধার।
তুমি এসো, অতিশয় শীতল কুয়াশা ফুঁড়ে দ্রুত
তুমি এসো; ভয় নেই, কিছুতেই ফিরে তাকাব না।
আমি কি অচেনা কেউ? এখনও কি চিনতে পারোনি?
আমার হাতে কি তুমি দেখতে পাওনি কোনো বাঁশি?
এখনও তুলতে পারি কত সুর সামান্য বাঁশিতে,
সেই সুর শুনে পাখি এখনও সান্নিধ্যে আসে, নুড়ি
গড়াতে গড়াতে চলে আসে কাছে, পশুরা হিংস্রতা

ভুলে যায় নিমেষেই এবং বাঁশির সুরে সব
নরখাদককে ঘুম পাড়িয়ে এসেছি, প্রত্যেকটি
প্রহরীর দৃষ্টিপথে মায়াপুরী তৈরি করে আমি
এখানে এসেছি মেয়ে, তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাব।
কিন্তু তুমি দূরে সরে যাচ্ছ কেন? কেন ছায়া হয়ে
মিশে যাচ্ছ অধিক গভীরতর ছায়ার ভেতর?
ধাবমান হোন্ডায় আজরাইল, তুমি তার ব্যাক
সিটে ভাবলেশহীন, যেন অতিশয় সাদা এক
মুখোশ রয়েছে সেঁটে মুখে, বুকে হিম স্রোত বয়।
তবে কি তোমাকে দেখে ফেলেছি হঠাৎ পুনরায়
সর্বনাশ লোভে? ফিরে এসো, আর ফিরে তাকাব না।