ঘাসের সবুজ ঘ্রাণ

এ রকমই হয় নাকি? হঠাৎ দরজা
বন্ধ হয়ে যায় জোরে মুখের ওপর। এভাবেই
কাটে বেশ কিছুকাল। মনে পড়ে কত কথা, কত
নিবিড় ঘটনা বারবার পুরনো সুরের মতো।

কিছু স্মৃতি মুছে যায়, কোনও কোনও স্মৃতি
বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো কিছুতেই যায় না কোথাও সরে,
সঙ্গ দেয় সুখে দুঃখে, রুক্ষ রোদে, তুমুল বৃষ্টিতে
ছাতা মেলে ধরে।

আবার ডেকেছ তুমি সব উম্মা ঝেড়ে ফেলে, দিয়েছ দুয়ার
খুলে, যেন চলে আসি দ্বিধাহীন, অথচ এখন কয়েকটি নিষ্ঠুর বাদুড়
দরজা আগলে রাখে রক্ত চোষার আশায়; তবু
তোমার নিকট যেতে বড় সাধ হয়। প্রতীক্ষার
কাল বড় দীর্ঘ, কাঠ ঠোকরার মতো রক্ত মাংস ছিঁড়ে নেয়।

পারি না তোমার কাছে যেতে। মনে পড়ে,
গুরুজনদের দৃষ্টি এড়িয়ে আমরা
কতদিন চলে গেছি গোধূলি বেলায় দূরে কোনও
জনহীন মাঠে আর নিয়েছি সবুজ ঘ্রাণ সতেজ ঘাসের,
কতকাল দেখি না তোমাকে, ইচ্ছে হয় একবার
দেখে আসি পরমুহূর্তেই ইচ্ছে উবে যায়; শুধু
দু’টি চোখ, শাদা হাত, ডুরে শাড়ি
এবং মাঠের নম্র ঘাস মনে পড়ে।