ঘর আমাকে কবরের ঘ্রাণে

মাঝে মাঝে আচমকা নিজেকে
নিঃস্পন্দ, নিষ্প্রাণ বেভে ঘরের
এক কোণে বসে থাকি একলা-
যেন আমি ঘরেরই
আসবাব, এ রকম নিষ্প্রাণ!
আচানক এক শব্দে নিস্তব্ধতা অধিক
স্তব্ধতর হয়, ঘর আমাকে
কবরের ঘ্রাণে আচ্ছাদিত করে বেজায়!
ভাবি, অতিদূর কোনোকালে দুনিয়া
অকস্মাৎ হবে কি মানবহীন, নিরেট
বস্তু কোনো? না থাকলে গাছপালা, গায়ক
পাখি, নদীনালা কিংবা সবুজ
প্রান্তর, হবে কি নরনারী সেই বিরান,
নিষ্প্রাণ অঞ্চলে প্রেমবাণী উচ্চারণে উৎসাহী?

কে আমাকে ডাকে সুমধুর সুরে দূরে? কোথায়
কোন্‌ বিরানায় তার আস্তানা?
নাকি শূন্যে ভাসমান অজানা
সে-জন? দেয় না দেখা কখনো কি কাউকে?
না কি শুধু আমার
দৃষ্টি থেকে বহু দূরে আড়ালে
থাকাই উদ্দেশ্য তার! সে কি কোনো মায়ার
ছলনায় ধ্বংস ডেকে আনবে?

১৫-৬-২০০৩