ঘর

বারুদগন্ধী পথে ঘুরে ঘুরে অনেক প্রহর,
মাড়িয়ে প্রাচীন ঘাসের চাপড়া, পাথর কুড়িয়ে
যূথচারিতায় বানিয়েছিলাম ঈপ্সিত ঘর!

সেই ঘরটার প্রতিটি দেয়ালে উদ্দাম ঝড়
বসিয়েছে নখ; উদাত্ত ভিতে দিয়েছি গুঁড়িয়ে,
দিয়েছি মিশিয়ে আমার রুক্ষ বুকের পাঁজর।
সেই ঘরে রোজ রোদ এসে শোয়, লালিম নিথর।
কখনও জ্যোৎস্না কানামাছি খেলে; লুকিয়ে চুরিয়ে
কখনও-বা আসে স্বাধীন প্রাণীরা, কোমল-ইতর।

প্রতিহিংসায় কে দেয় পুড়িয়ে শ্রীমন্ত খড়?
তবু সত্বর রক্তের তাপ যাবে কি জুড়িয়ে?
দেখবো শুধুই ছেয়ে যাবে ঘরে পোকা ও মাকড়?

স্বপ্ন ছিলো তো থাকবো সেখানে বছর বছর।
কিন্তু কে যেন নিমেষে চক্র দিয়েছে ঘুরিয়ে,
সেই ঘরে আজ পায়ে পায়ে শুধু জড়ায় নিগড়।